সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হুরাসাগর নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আশা বিভিন্ন ধরনের নৌকায় মাঝির বৈঠার টানে ঢেউয়ের কলতান, হেঁইয়োরে হেঁইয়ো আর ছলাৎ ছলাৎ শব্দে উত্তাল হয় হুরাসাগর নদী।আর দু’পাড়ের হাজারও দর্শকের করতালিতে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন ও ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় সভাপতিত্ব করেন সমাজ সেবক শহীদ আলী সরকার। পরিচালনা করেন, দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ রানা। এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। লক্ষীপুর, পিড়ার চর ও চরলক্ষীপুর গ্রাম সংলগ্ন হুরাসাগর নদীর প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় নৌকা বাইচে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অর্ধশতাধিক নৌকা অংশ নেয়।
এদিকে নৌকা বাইচ উদ্বোধনের পর রং বে-রঙের বাহারি পোশাক পরিহিত প্রতিযোগী নৌকা বাইচের মাঝিদল তাদের সুসজ্জিত নৌকা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এসময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মাঝিদের ভাটিয়ালী গান আর পানিতে বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দে পুরো এলাকা মুখরিত হয়। দু’পাড়ের দর্শনার্থীরাও স্বতঃস্ফুর্ত আবেগে সুর মেলায় মাঝিদের সাথে-মারো টান, হেঁইয়োরে হেঁইয়োরে। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ উপভোগ করেন হাজার হাজার মানুষ।
এ বিষয়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মমিন মন্ডল বলেন, ‘গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে প্রতি বছর এ প্রতিযোগিতা বৃহৎ পরিসরে আয়োজন করা হবে। আশা করছি এই নৌকা যেমন আনন্দ বিনোদন দেয়, তেমনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতার মূল সারথি নৌকাকে আগামীতেও বিজয়ী করার আহ্বান রইলো।